প্রধান শিক্ষকের বাণী
বর্তমান সময়ে মানুষ সন্তানের শিক্ষা নিয়ে যত বেশি ব্যস্ত এবং চিন্তত অন্য কোনো বিষয়ে ততটা নয়। সন্তানের প্রথম দিনের স্কুল যাত্রা থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত অভিভাবকের দৌড় ঝাপ কখনো থামেনা। তারা সর্বদা সন্তানকে মানসম্মত একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অস্থির হয়ে থাকেন। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মানসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় উত্তরাঞ্চল অনেকটাই পিছিয়ে। বিশেষ করে আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের মানুষের জীবন ও জীবিকার চিত্র এতটাই নিম্নমানের ছিল যে, তাদের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষার বিষয়টি কখনো ভাবনা-চিন্তার মধ্যেই ছিল না। দীপশিখার তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক জনাব পৌল চারোয়া তিগ্যা স্যার খুব ভালোভাবেই তা বুঝতে পেরেছিলেন। এই চিন্তা থেকেই রুদ্রপুরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও মেহনতী মানুষের সন্তানদের জন্য আধুনিক, কর্ম ও জীবনমূখী বাস্তব শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে মেটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে ২ টি শ্রেণি নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে মেটিতে ১২ টি শ্রেণি। প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর পদচারনায় ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রথম থেকেই স্থানীয় এবং দূরদুরান্তের অভিভাবকগণ আমাদের উপর আস্থা রেখে তাদের প্রিয় সন্তানদের দায়িত্ব আমাদের উপর অর্পন করেছে এবং আমরা তাদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছি। ফলশ্রুতিতে আমরা পি ই সি, জে এস সি এবং এস এস সি তে ভাল ফলাফলসহ প্রায় প্রতি বছর অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক কাজে যেমন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা ও গণিত অলিম্পিয়াডে বিরর উপজেলাতে ১ম ও ২য় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
আমি মনে করি একজন শিক্ষার্থীর প্রয়োজন বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান লাভ, সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফলতা অর্জন এবং স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ উচ্চ নীত ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ মানুষ হওয়ার শিক্ষা। যাদের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে আরও সুন্দর ও উন্নত। আমার বিশ্বাস এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে দীপশিখা মেটি স্কুল সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কারণ আমাদের আছে মেধাবী ও পরিশ্রমী এক ঝাঁক শিক্ষা সহায়ক। আরও আছে অত্যাধনিক ও সুপরিসর সাইন্স ল্যাব, লাইব্রেরি এবং স্ব- ক্রয়ের দোকান। আছে কোলাহল ও শব্দমুক্ত নির্মল এবং প্রশস্ত ক্যাম্পাস। সর্বোপরি আমাদের আছে গুনগত শিক্ষা বাস্তবায়নে সৎ ও নির্ভিক মানসিকতা এবং সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা। যার ফরে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ে সবার আস্থার একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বিদ্যালয়টি ২০২৩ সালে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি লাভ করে। এবং প্রতিষ্ঠানটি নিজ নামে ৮ম শ্রেণিতে ছাত্র/ছাত্রী রেজিঃ করে।
প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও সফলতায় সকল অভিভাবক ও সুধী মহলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। প্রতিষ্ঠানটি যেন আরও উন্নতি ও সফলতা অর্জন করতে পারে সেজন্য অভিভাবক ও সুধী মহলের পরামর্শ ও সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
স্কুলের ইতিহাস
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির ছেলে মেয়েদের আধুনিক ও গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ গড়ার মহান ব্রত নিয়ে বিগত ১৯৯৯ ইং সালে দীপশিখার মডার্ন এডুকেশন এন্ড টিচিং ইনস্টিটিউট (মেটি) যাত্রা শুরু করে এবং অদ্যাবধি তা প্রত্যন্ত এলাকার ছেলে মেয়েদেরকে যুগোপযোগী ও গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে।
মডার্ন এডুকেশন এন্ড টিচিং ইনস্টিটিউট (মেটি) এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীদেরকে শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে তোলা এবং ভবিষ্যতে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। উক্ত উদ্দেশ্যে দীপশিখা একাডেমিক কোর্স কারিক্যুলাম অনুযায়ী শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক অন্যান্য বিষয়ের উপর বাস্তব ভিত্তিক শিক্ষা যেমন: (১) কম্পিউটার ক্লাস, (২) মেডিটেশন, (৩) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/ স্থান পরিদর্শন, (৪) গ্রামীন সংস্কৃতি ও জীবিকায়ন, (৫) সংগীত ও নৃত্য, (৬) আর্ট এন্ড ক্রাফ্টস্, (৭) বিতর্ক প্রতিযোগীতা, (৮) গার্ডেনিং ইত্যাদি বিষয়সমূহের উপর নিয়মিতভাবে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফেসিলিটেটরবৃন্দ কর্তৃক প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরন ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে অংশগ্রহনমূলক পরিবেশের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে ফলে প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রী অত্যন্ত মেধাবী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে।
গ্যালারী (বিভিন্ন এ্যাকটিভিটির ছবি):
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
মেটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
লক্ষ্য : লক্ষ্যভূক্ত উপকার ভোগীদের গঠনগত ও জীবনমূখী শিক্ষার উন্নয়ন।
উদ্দেশ্য : বাংলাদেশের গ্রামীন এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য গ্রামীন দরিদ্র ও মেধাবী যারা লেখাপড়া করতে গিয়ে ঝড়ে পড়ছে তাদের লেখাপড়ার সুযোগ ও দক্ষ করে গড়ে তোলা।
*শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধ্যান ধারনা থেকে বের হয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণ ধর্মী ও যুক্তিবাদী চিন্তাশীল করা।
*সামাজিক সচেতনতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করা।
*জীবন ভিত্তিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করা।
*মান সম্মত শিক্ষা বিস্তারের জন্য স্থানীয় পর্যায়ের স্কুলগুলোতে শিক্ষা সম্পর্কিত ধারনা বিস্তারে সহায়তা করা।